আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় কোনো নিয়ম নীতি না মেনেই লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য করাত কল। এতে করে পরিবেশগত দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ জনগণ।
ভৌগোলিক কারণেই লালমনিরহাটের প্রায় সবগুলো উপজেলায়ই প্রচুর পরিমাণে স্থানীয় প্রজাতির বিভিন্ন গাছপালা জন্মে থাকে। আর নিজেদের প্রয়োজনে বাণিজ্যিক কিংবা ব্যক্তিগতভাবে এসব গাছ ব্যবহার করেন স্থানীয় জনগণ। গাছগুলোকে ব্যবহার উপযোগী করতে প্রয়োজন করাত কল।
করাত কলের এ ব্যবসা লাভজনক হওয়ায়, নিয়মনীতি অমান্য করে যত্রতত্র গড়ে তোলা হচ্ছে করাত কল। গাছের গুড়ি স্তূপাকারে রাস্তার উপর রেখে সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে এসব অবৈধ করাত কল।
অনেকেই করাত কল স্থাপনের পর তা অন্যের কাছে ভাড়া দিয়য়ে থাকেন। লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে লাইসেন্সবিহীন অসংখ্য করাত কল। বিষয়টি দেখাভালের জন্য কোনো মনিটরিং না থাকায় দিন দিন করাত কলের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
করাত কল স্থাপন নীতিমালা অনুসারে, কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান এবং জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিঘ্ন সৃষ্টি করে এইরূপ কোন স্থানের নূন্যতম ২শত মিটারের মধ্যে কোন করাত কল স্থাপন করা যাবে না। এসব অবৈধ করাত কলের ক্ষেত্রে এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। এছাড়া সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করাত কল চালানোর বিধান থাকলেও, তা ভঙ্গ করে দিন-রাতই চালানো হচ্ছে এসব করাত কল।
এভাবে যত্রতত্র অবৈধভাবে করাত কল নির্মাণ করায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ জনগণ। তবে এসব অনিয়মের ব্যাপারে তেমন কোন মাথাব্যথা নেই করাত কল কর্তৃপক্ষের।
লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলায় করাত কল রয়েছে প্রায় ৩শতাধিক। তবে লাইসেন্স রয়েছে অর্ধেকেরও কম করাত কলের।